রোমান্টিক সিনিয়র জুনিয়র প্রেম - অবশ্যই ভালো লাগার মত গল্প
হুমায়রা- আচ্ছা তুই আমাকে ভালোবাসলে বিয়ে করলে এলাকার মানুষ কি বলবে? লজ্জা দিবেনা? বলবেনা জামাইর চেয়ে বউ বড়!
আবির- আরে ধুর, মানুষের কথায় কান দিলে না খাইয়া মরতে হবে।
হুমায়রা- হুমম সেটাও ঠিক..
আবির- কিন্তু তুমি এসব কেন বলছো? তার মানে তুমি আমাকে ভালোবাসো!
হুমায়রা- হুমম। কিন্তু সবাইকে তুই ম্যানেজ করতে পারবি?
আবির- আরে ডোন্ট চিন্তা। ইসলামের দৃষ্টিতে বউ বড় হইলে সমস্যা নাই। বড় কথা হইলো জামাই বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজী....
হুমায়রা- ওরে বাপরে বাপ? অনেক কথাই জানিস দেখছি!
আবির- না জানলে কি আর তোমার প্রেমে পড়তাম? আচ্ছা ভালো কথা, আমি কি এখনও তোমাকে আপু বলে ডাকবো? নাকি নাম ধরে?
হুমায়রা- তার আগে বল তুই আমাকে কতটুকু ভালোবাসিস?
আবির- আমি জানিনা। তবে অনেক ভালোবাসি যার কোন পরিমাপ নেই ও সীমা নেই।
হুমায়রা- কি করতে পারবি আমার জন্য?
আবির- সব করতে পারবো কিন্তু মরতে পারবো না কারণ আমি মরে গেলে তুমি যদি অন্য কারো হয়ে যাও!
হুমায়রা- শালা হারামী...
আবির- ছিঃ ছিঃ স্বামীকে ওভাবে বলতে নেই।
হুমায়রা- লাথি মেরে হাটুর বাটি ছুটিয়ে দেবো। এখনও বিয়ে হয়নি, আর স্বামী হয়ে বসে আছিস..
আবির- আমি কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবো?
হুমায়রা- কি করবি? একটু আগেও তো কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলি ভালোবাসি বলাতে সাহস বেড়ে গেছে? কি করবি শুনি..
আবির- দুই হাতে দুই গাল ধরেএকটা পাপ্পি দিবো..
এটা বলেই আবার দৌড় দিলো আবির।
হুমায়রা- আবির শোন, আরে শোন
আবির- না। কাছে গেলে আরেক গালে থাপ্পড় মারবা।
হুমায়রা- না আসলে কিন্তু আমার সাথে আর কথা বলতে আসবিনা।
আবির- আচ্ছা আসছি। (গালে হাত দিয়ে কাছে এলো)
হুমায়রা- গালে হাত দিয়ে আছিস কেন?
আবির- না মানে..
হুমায়রা- আজ থেকে তুই আমায় নাম ধরেই ডাকবি।
আবির ও হুমায়রা পাশাপাশি বাড়িতেই থাকে। সে হুমায়রার চেয়ে ৩বছরের ছোট। কিন্তু ভালোবাসা কোন বাধাই মানেনা। আবির প্রথমে যখন প্রপোজ করেছিলো তখন হুমায়রা রেগে ওকে একটা থাপ্পড়ও দিয়েছিলো কিন্তু হুমায়রাও শেষ পর্যন্ত ভালোবাসার কাছে হার মানে। আবিরের কিছু কথা তার মনে নাড়া দেয়, কিন্তু বর্তমান সমাজ কোন চোখে দেখবে সেটাই আসল কথা। কয়েকদিন পর আবির সন্ধ্যায় তার দুই বন্ধু হৃদয় ও সাকিবের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো।
হৃদয়- কিরে আবির তোর নামে কি শুনতাছি? সাকিব শুনছস?
সাকিব- কি?
হৃদয়- আরে ঐ হুমায়রা আপার লগে চক্করের কথা..
আবির- শালা সব কিছু নেগেটিভ নিস ক্যান?
হৃদয়- নেগেটিভ মানে তুই চক্কর মারার জন্য বড় ছোট বাছাই করতেছছ না,
আবির- তুইওত দেখি আরেক আলগার ঘরের আলগা। শালা সোজা কথা শুন আমি হুমায়রাকে লাভ করি সেও করে। আমরা বিয়েও করবি।
সাকিব- এটা আমি অনেক আগে থেকেই জানি।
হৃদয়- দুই শালা দেখি তলে তলে অনেক কিছু করেছিস। যাইহোক তোদেরকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য পাশে আছি। হেল্প লাগলে বলিস।
কয়েকদিন পর ঘটনা আবিরের বাবা মা জানলো, তারা নানারকম কথা বলতে লাগলো।
বাবা- আবির এসব কি?
আবির- কোনসব?
বাবা- ন্যাকামি করিস? থাবড়িয়ে তোর দাঁত ফেলে দিবো।
মা- আরে তুমি শান্ত হও। আবির তুই নাকি হুমায়রারে বিয়ে করতে চাস, এটা হুমায়রার মা বললো।
আবির- হ্যা আম্মু, এতে খারাপের কি আছে?
বাবা- আবিরের মা দেখছো? আবার মুখে মুখে তর্ক করে। এই! তোর এখন বয়স কত হইছে? তোর এখনও দুধের দাঁতও পড়ে নাই আর তুই প্রেম করতেছছ তাও তোর মায়ের বয়সি একটা মেয়ের সাথে। আমি কিন্তু এসব মানবোনা পিটিয়ে তোর পিঠের ছাল তুলে নিবো।
আবির- আব্বু তুমি শুধু শুধু আমাকে ভূল বুঝছো, হ্যা আমি অপরাধ করেছি সেটা হলো বিয়ের আগে কোন বেগানা মেয়ের সাথে সম্পর্ক জায়েজ নাই। তবে আব্বু এমন খারাপ কিছু করি নাই যে তোমাদের মান সম্মানে হানি হবে। আর সে আমার চেয়ে মাত্র ৩বছরের বড়। আব্বু তুমিই বলো আমাদের মহানবী (সাঃ) বিবি খাদিজা (রাঃ)কে বিয়ে করেছিলেন যিনি ওনার চেয়ে ১৫ বছরের বড় ছিলেন। এটা কি বেঠিক ছিলো? আর ইসলামের দৃষ্টিতে কোথায়ও বয়সে বড় মেয়েকে বিয়ে করা যাবেনা এটা লিখা আছে? আব্বু আমি তোমাকে প্রশ্ন করিনি শুধু যুক্তি দেখালাম। বেয়াদবি হলে মাফ করো।
আবিরের বাবা ছেলের কথাগুলো ভালোভাবে চিন্তা করলেন। তিনি বুঝতে পারলেন।
হুমায়রা- শালা হারামী...
আবির- ছিঃ ছিঃ স্বামীকে ওভাবে বলতে নেই।
হুমায়রা- লাথি মেরে হাটুর বাটি ছুটিয়ে দেবো। এখনও বিয়ে হয়নি, আর স্বামী হয়ে বসে আছিস..
আবির- আমি কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবো?
হুমায়রা- কি করবি? একটু আগেও তো কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলি ভালোবাসি বলাতে সাহস বেড়ে গেছে? কি করবি শুনি..
আবির- দুই হাতে দুই গাল ধরেএকটা পাপ্পি দিবো..
এটা বলেই আবার দৌড় দিলো আবির।
হুমায়রা- আবির শোন, আরে শোন
আবির- না। কাছে গেলে আরেক গালে থাপ্পড় মারবা।
হুমায়রা- না আসলে কিন্তু আমার সাথে আর কথা বলতে আসবিনা।
আবির- আচ্ছা আসছি। (গালে হাত দিয়ে কাছে এলো)
হুমায়রা- গালে হাত দিয়ে আছিস কেন?
আবির- না মানে..
হুমায়রা- আজ থেকে তুই আমায় নাম ধরেই ডাকবি।
আবির ও হুমায়রা পাশাপাশি বাড়িতেই থাকে। সে হুমায়রার চেয়ে ৩বছরের ছোট। কিন্তু ভালোবাসা কোন বাধাই মানেনা। আবির প্রথমে যখন প্রপোজ করেছিলো তখন হুমায়রা রেগে ওকে একটা থাপ্পড়ও দিয়েছিলো কিন্তু হুমায়রাও শেষ পর্যন্ত ভালোবাসার কাছে হার মানে। আবিরের কিছু কথা তার মনে নাড়া দেয়, কিন্তু বর্তমান সমাজ কোন চোখে দেখবে সেটাই আসল কথা। কয়েকদিন পর আবির সন্ধ্যায় তার দুই বন্ধু হৃদয় ও সাকিবের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো।
হৃদয়- কিরে আবির তোর নামে কি শুনতাছি? সাকিব শুনছস?
সাকিব- কি?
হৃদয়- আরে ঐ হুমায়রা আপার লগে চক্করের কথা..
আবির- শালা সব কিছু নেগেটিভ নিস ক্যান?
হৃদয়- নেগেটিভ মানে তুই চক্কর মারার জন্য বড় ছোট বাছাই করতেছছ না,
আবির- তুইওত দেখি আরেক আলগার ঘরের আলগা। শালা সোজা কথা শুন আমি হুমায়রাকে লাভ করি সেও করে। আমরা বিয়েও করবি।
সাকিব- এটা আমি অনেক আগে থেকেই জানি।
হৃদয়- দুই শালা দেখি তলে তলে অনেক কিছু করেছিস। যাইহোক তোদেরকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য পাশে আছি। হেল্প লাগলে বলিস।
কয়েকদিন পর ঘটনা আবিরের বাবা মা জানলো, তারা নানারকম কথা বলতে লাগলো।
বাবা- আবির এসব কি?
আবির- কোনসব?
বাবা- ন্যাকামি করিস? থাবড়িয়ে তোর দাঁত ফেলে দিবো।
মা- আরে তুমি শান্ত হও। আবির তুই নাকি হুমায়রারে বিয়ে করতে চাস, এটা হুমায়রার মা বললো।
আবির- হ্যা আম্মু, এতে খারাপের কি আছে?
বাবা- আবিরের মা দেখছো? আবার মুখে মুখে তর্ক করে। এই! তোর এখন বয়স কত হইছে? তোর এখনও দুধের দাঁতও পড়ে নাই আর তুই প্রেম করতেছছ তাও তোর মায়ের বয়সি একটা মেয়ের সাথে। আমি কিন্তু এসব মানবোনা পিটিয়ে তোর পিঠের ছাল তুলে নিবো।
আবির- আব্বু তুমি শুধু শুধু আমাকে ভূল বুঝছো, হ্যা আমি অপরাধ করেছি সেটা হলো বিয়ের আগে কোন বেগানা মেয়ের সাথে সম্পর্ক জায়েজ নাই। তবে আব্বু এমন খারাপ কিছু করি নাই যে তোমাদের মান সম্মানে হানি হবে। আর সে আমার চেয়ে মাত্র ৩বছরের বড়। আব্বু তুমিই বলো আমাদের মহানবী (সাঃ) বিবি খাদিজা (রাঃ)কে বিয়ে করেছিলেন যিনি ওনার চেয়ে ১৫ বছরের বড় ছিলেন। এটা কি বেঠিক ছিলো? আর ইসলামের দৃষ্টিতে কোথায়ও বয়সে বড় মেয়েকে বিয়ে করা যাবেনা এটা লিখা আছে? আব্বু আমি তোমাকে প্রশ্ন করিনি শুধু যুক্তি দেখালাম। বেয়াদবি হলে মাফ করো।
আবিরের বাবা ছেলের কথাগুলো ভালোভাবে চিন্তা করলেন। তিনি বুঝতে পারলেন।
মা- শোনো ! সংসারটাতো আমাদের ছেলে করবে, এখন সে যদি হুমায়রার সাথে সুখী হয় আর হুমায়রাও যদি সুখী হয় তাহলে আমরা বাধা হবো কেন?
আবিরের বাবা রাজি হলেন। তিনি হুমায়রার বাবা মায়ের সাথে কথা বলে বিয়ে ঠিক করে রাখলেন। আবির যখন অনার্স শেষে ভালো চাকরি করবে তখন বিয়ে হবে।
৫ বছর পর
আজ আবির ও হুমায়রার বিয়ে। হুমায়রা বাসর ঘরে বধু সেজে বসে আছে। আবির ঘরে ঢুকে দরজায় দাড়িয়ে আছে।
হুমায়রা- ওখানে দাড়িয়ে আছো কেন?
আবির- ইয়ে মানে ভয় করছে..
হুমায়রা- জলদি এখানে আসো। বিয়ে হয়ে গেছে, এখন তুমি আমার স্বামী, তুমি থেকে তুই হয়ে যাক এটা চাও?
আবির- না না। আসছি।
আবির এসে খাটের পাশে দাড়ালো। হুমায়রা খাট নামতেই আবির ভয়ে দৌড় দিতে চাইলো কিন্তু হুমায়রা আবিরের পাঞ্জাবি ধরে টেনে ধরে রাখলো।
হুমায়রা- আশ্চর্য্য, তোমাকে সালাম করতে নেমেছি আর তুমি ভয়ে পালাচ্ছো?
আবির- সেটা আগে বলবে না? কিন্তু তুমি তো আমার বড়..
হুমায়রা- সালাম করতে বড় ছোট লাগেনা, তাছাড়া তুমি আমার স্বামী, স্বামীকে স্ত্রী সালাম করবে না তো কে করবে?(হুমায়রা পা ধরে সালাম করলো।)
আবির- আমার কেমন যেন লাগছে, একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি!(ভয়ে ভয়ে)
হুমায়রা- সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবেনা। শালা বিয়ের আগে বলছোনা পাপ্পি দিবা? এখন বাসর ঘরে আমারে একলা রাইখা ভাইগা যাও? ঠুসামু..
অতঃপর...