যে সব খাবার ফ্রিজে রাখবেন না

ফ্রিজ সব ধরনের খাবার(Food) রাখার জন্য নয়। কিছু খাবারকে ফ্রিজে রাখলে মান কমে যেতে পারে অথবা স্বাদ নষ্ট হতে পারে অথবা তাড়াতাড়ি পঁচে যেতে পারে। এখানে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয় এমন আটটি খাবারের তালিকা দেয়া হলো।

টমেটো: পাকা টমেটো(Tomato) ফ্রিজে নয়, কক্ষ তাপমাত্রায় রাখাই ভালো। ফ্রিজের ঠান্ডা তাপমাত্রায় টমেটোর টেক্সচার ও ফ্লেভার উভয়ই প্রভাবিত হয়। তবে ২০২০ সালে ফ্রন্টিয়ারস ইন প্লান্ট সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণায় পাকা টমেটোকে একদিন-দুইদিন ফ্রিজে রাখার পর কক্ষ তাপমাত্রায় রাখা পাকা টমেটোর সঙ্গে তুলনা করে রঙ ও স্বাদে তেমন পরিবর্তন পাওয়া যায়নি। এর আগের কিছু গবেষণায় পাকা টমেটো(Tomato) দীর্ঘসময় ফ্রিজে রেখে কক্ষ তাপমাত্রায় রাখা পাকা টমেটোর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল, যেখানে ফ্রিজে রাখা টমেটোর টেক্সচার ও ফ্লেভারে ব্যাপক অবনতি দেখা গেছে।

আলু: আলু কখনোই ফ্রিজে রাখবেন না। রেফ্রিজারেশন আলুর স্টার্চকে দ্রুত সুগারে পরিণত করে। ফ্রিজে রাখা আলু বেক বা ফ্রাই করা হলে এসব সুগার ক্যানসার-সৃষ্টিকারী কেমিক্যাল অ্যাক্রিলামাইড উৎপাদন করতে পারে। আলু(Potato) শীতল ও অন্ধকার স্থানে রাখুন। আলু অন্ধকারে রাখলে সবুজ হবে না। সবুজ আলু মানে বিষাক্ত আলু।

মিষ্টি কুমড়া: মিষ্টি কুমড়া(Pumpkin) ফ্রিজে রাখলে এর ভেতরটা দ্রুত খারাপ হতে থাকে। তাই মিষ্টি কুমড়া ঘরের ঠান্ডা ও অন্ধকার স্থানে রাখুন। মিষ্টি কুমড়ার শক্ত খোসা দীর্ঘসময় ধরে ভেতরটাকে সুরক্ষিত রাখবে। এই সবজিকে কক্ষ তাপমাত্রায় মাসের পর মাস সংরক্ষণ করা যায়।

কফি: অনেকে কফির প্যাকেট বা কৌটা ফ্রিজে রাখেন, কিন্তু এটা কফি সংরক্ষণের সর্বোত্তম স্থান নয়। কফি ফ্রিজে রাখলে এর পাশে থাকা অন্যান্য খাবারের ফ্লেভারকে টেনে নেয়। ফলে স্বাদ চলে যায় ও গন্ধ বদলে যায়। তাই প্রকৃত ফ্লেভার ধরে রাখতে কফি(Coffee) কক্ষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।

কলা: কলা ফ্রিজে রাখলে গাঢ় বাদামী রঙ ধারণ করে। কাঁচা কলা(Banana) কক্ষ তাপমাত্রায় রাখলে পেকে যায়, কিন্তু রেফ্রিজারেশন এই প্রক্রিয়াকে ধীর করে। এছাড়া কলা থেকে গ্যাস বের হয়ে অন্যান্য ফল পেকে যায় বলে এটাকে ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।

পাউরুটি: এটা ঠিক যে পাউরুটি ফ্রিজে রাখলে দীর্ঘসময় ছত্রাক ধরবে না, কিন্তু এর বিনিময়ে স্বাদ হারাতে হবে। রেফ্রিজারেশনে পাউরুটি(Bread) শুকিয়ে যায় ও খেতে ততটা সুস্বাদু হয় না। পাউরুটি কক্ষ তাপমাত্রায় দুই থেকে চার দিন সংরক্ষণ করা যায়। তবে ফ্রিজে সাত থেকে ১৪ দিন ভালো থাকে।

পেঁয়াজ: পেঁয়াজ না কাটলে অথবা খোসা না ছাড়ালে ঠান্ডা, শুষ্ক, অন্ধকার ও বায়ু চলাচলের স্থানে রাখা উচিত। পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের অভাবে পেঁয়াজ(Onion) তাড়াতাড়ি পঁচে যায়। তাই গোটা পেঁয়াজকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন না। তবে খোসা ছাড়ানো পেঁয়াজকে ফ্রিজে রাখতে পারেন। গোটা পেঁয়াজের মতো খোসা না ছাড়ানো রসুনকেও কক্ষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত।

মধু: মধু ফ্রিজে সংরক্ষণ না করে ঘরের ঠান্ডা স্থানে আবদ্ধ পাত্রে সংরক্ষণ করুন। সরাসরি সূর্যের আলো আসে এমন স্থানে রাখবেন না। মধু(Honey) ফ্রিজে রাখলে খুব বেশি ঘনীভূত হয়ে যায়, যার ফলে ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ব্যবহারের সময় জটিলতা এড়াতে মধু ফ্রিজে সংরক্ষণ না করাই ভালো।

জ্যাম বা জেলি: অনেক সময়ে আমরা জ্যাম বা জেলিকে ফ্রিজে রাখি। তবে তা করলে এর মধ্যে থাকা প্রিজারভেটিবস দানা বেঁধে যায়। তাই তা কখনো করা উচিত নয়।

Was Publish all This Topic Related Article. All Receipe Tips,Cooking,Fast Food Receipe,রান্নার আইডিয়া,নিত্য নতুন রেসিপি,রেসিপির বই,ফাস্ট ফুড রেসিপি,Cooking School,Cooking Food,Fast Food,Fast Food Restaurant and More Usa Receipe Guide.

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url