শরীর ফিট রাখার কিছু স্বাস্থ্য টিপস ! যা বদলে দেবে আপনার জীবন

যদিও স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমরা হেলথ টিপস বা কোন প্রকার হাইজিন নিয়ম মেনে চলি না, বা হাইজিন নিয়ম বা হেলথ টিপস সম্পর্কে আমাদের কোন ধারনা নেই, আমাদের অজ্ঞতার কারণে আমরা আমাদের স্বাস্থ্য অকালে হারিয়ে ফেলি। বা অসময়ে। তাই আর বিলম্ব না করে; আসুন জেনে নেই কিছু সহজ এবং সেরা আধুনিক স্বাস্থ্য টিপস।

মহিলাদের স্বাস্থ্য টিপস স্বাস্থ্য বিষয়ক ডাক্তারি টিপস স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার টিপস শিশু স্বাস্থ্য টিপস স্বাস্থ্য টিপস পরামর্শ স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় সকালের স্বাস্থ্য টিপস


সকালে পানি পান করুন:

যেহেতু আমাদের দিন শুরু হয় সকাল দিয়ে, তাই সকালের স্বাস্থ্য টিপস অনুসরণ করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ! সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরপরই খালি পেটে পানি পান করা খুবই উপকারী একটি স্বাস্থ্য টিপ। ফলে শরীরকে অনেক ধরনের রোগ থেকে সহজেই মুক্ত রাখা যায়। ঠিক এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা সকালে এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করার পরামর্শ দেন। এছাড়া সকালে খালি পেটে পানি পান করলে আরও অনেক উপকার পাবেন।

রাতে একটানা ঘুমের কারণে হজম কাজ করে না। এই জন্য; সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়ার গতি বাড়ে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ১ গ্লাস গরম পানি পান করলে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ে। সকালে ১ গ্লাস পানি পান করলে শরীর থেকে রক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।

ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়মিত পানি পান করলে ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়। প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে পানি পান করলে শরীরের পেশী ও কোষের উন্নতি ঘটে।

সকালে পানি পানের অভ্যাসের ফলে কিডনির সমস্যা, মাসিকের সমস্যা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানি পান করলে কোলন পরিষ্কার থাকে; এবং কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম হয় এবং মল আরামদায়ক হয়।


প্রতিদিন ফল খান:

আমরা অনেকেই মনে করি শুধুমাত্র দামি মাছের মাংস খেলেই আমাদের সকল খাদ্য চাহিদা পূরণ হবে, কিন্তু এই ধারণা সঠিক নয়। তাই প্রতিবার রাইস কুকারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না; আপনাকে তাজা ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের কাঁচা ও পাকা ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ; এতে ভিটামিন এ সহ প্রায় সব ভিটামিনই রয়েছে। ভিটামিন সি ত্বককে সুস্থ রাখে এবং আমাদের মুখের সৌন্দর্য বাড়ায়! কিন্তু; ভিটামিন সি তাপ দ্বারা ধ্বংস হয়; তাই আমরা যদি শুধুমাত্র রান্না করা খাবারের উপর নির্ভরশীল থাকি তাহলে আমরা এই প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হব! তাই আমাদের সুস্থ শরীর ও সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন তাজা ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।


নিয়মিত ব্যায়াম:

ব্যায়াম সম্পর্কে আমরা সবাই জানি! কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এই সেরা বিনামূল্যে স্বাস্থ্য টিপস গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নই। কারণ ব্যায়ামের উপকারিতা কি; কখন ব্যায়াম করা ভালো; আমরা সঠিক ব্যায়াম নিয়ম জানি না. ফলে আমরা অনেকেই কয়েকদিন ব্যায়াম করলেও আমাদের আর আগ্রহ থাকে না। তাই ব্যায়ামের গুরুত্ব মাথায় রাখতে হবে।

নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়ামের ফলে; শরীরের ওজন স্বাভাবিক। উচ্চ রক্তচাপ কমায়। শিশু-কিশোরদের প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করা উচিত বা ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করা উচিত! প্রাপ্তবয়স্কদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা ব্যায়াম বা তিন থেকে চার ঘণ্টা শারীরিক বা কায়িক শ্রম প্রয়োজন।


পুষ্টিগুণের কথা মাথায় রেখে খাবার খাওয়া:

আমরা যখন ক্ষুধার্ত থাকি, তখন আমরা খাবারের পুষ্টিগুণ বিবেচনা বা বিচার না করেই খাবার খাই। আবার অনেকে মনে করেন; পুষ্টিকর খাবার মানেই দামি খাবার। এ ধারণা মোটেও সঠিক নয়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের দেশে খুবই কম খরচে পাওয়া যায়। এর মধ্যে শাকসবজি অন্যতম। তাছাড়া খোলা রাস্তার খাবার খেলে আমাদের স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই খাবারের গুণাগুণ নিয়ে আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে। অতিরিক্ত তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।


পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ:

সুস্বাস্থ্যের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন খাওয়া উচিত। কারণ; প্রোটিন আমাদের শরীর তৈরি করে; ক্ষয় পূরণ; শরীর বাড়ায়। মাছ, মাংস, ডিম প্রাণীজ প্রোটিনের প্রধান উৎস। তা ছাড়া যারা পরিশ্রম করেন তাদের চিনি বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত।


ওজন কমানোর চেষ্টা:

সুস্থ শরীর পেতে ওজন কমানোর বিকল্প নেই; আর আজকের যুগে ওজন কমানো খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তাই ওজন কমানো আপনার জন্য সেরা স্বাস্থ্য টিপস হতে পারে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ওজন কমানোর সহজ উপায়গুলো কি:


সবুজ চাঃ

একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে; 1 দিনে মাত্র চার কাপ গ্রিন টি পান করলে শরীরে 400 ক্যালোরি বার্ন হতে পারে। ফলে; ওজন ঠিক রাখতে এটি খুবই কার্যকরী।


দিনে ঘুমাতে পারে নাঃ

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা দিনের বেলা ঘুমান। কিন্তু এর ফলে ওজন বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দেয়। অতএব; রাতে নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।


মসলাযুক্ত খাদ্যঃ

শুধুমাত্র রান্না করা খাবার কখনই খাওয়া উচিত নয়। আবার; জিরা গুঁড়া; হলুদ; ধনে জাতীয় মসলা নিয়মিত খেতে হবে; কারণ, এগুলো ওজন কমায়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url