যখন সিনিয়র আপুর সাথে প্রেম

আমি শিশির, আমার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান, এখন আমি দ্বিতীয় বর্ষে,,,,,

আচ্ছা গল্পে আসা যাক,,,,,,,


কলেজের মাঠে বসে বন্ধুরা সবাই আড্ডা দিচ্ছি,,,,,, (শিশির, রাজ, তন্ময়, সামি,,,,)


রাজঃ দোস্ত দেখো বৃষ্টি আসছে,,,,,


শিশির: কই,,,,,


রাজঃ আরে পিছনে তাকাও,,,,,


ওমা তাকিয়ে দেখল বৃষ্টি আমাদের দিকে আসছে,,,,,,


এবং আসুন শুধু বলি আমি বৃষ্টিকে ভালবাসি, কিন্তু সে আমাকে ভালবাসে না কারণ সে আমার 1 বছরের সিনিয়র।

আমি তাকে প্রথম বৃষ্টিতে ভিজতে দেখেছিলাম,,,, আসলে তার বাসা আমার বাসার পাশে,,,,

একদিন যখন বৃষ্টি হচ্ছিলো তখন ওকে দেখলাম তখন ওর প্রেমে পড়ে গেলাম,,, অনেকবার বলেছি কিন্তু একি ভালোবাসি না,,,,,,


কয়েকদিন আগে একতরফা প্রেমের ২ বছর পূর্ণ করলাম.......


সাথে সাথে বৃষ্টি আমার কাছে এলো,,,,,,,


বৃষ্টিঃ আমার বন্ধু আকাশকে কি বললাম?


শিশির: আমি বললাম,,,আমি তাকে ভালোবাসি,তুমি তার থেকে দূরে থাকবে,,,,,,

আমি যদি তোমাকে তার সামনে বা তার আশেপাশে দেখি, আমি তার হাত-পা ভেঙে দেব।


বৃষ্টি: তুমি তোমার দোষ খুঁজছ,,,,, (আশ্চর্য......)


শিশিরঃ হুম,,,,

আমি তোমাকে ভালোবাসি


বৃষ্টিঃ কতবার বলবো আমি তোমাকে ভালোবাসি না,,,,,,


শিশির: কিন্তু বৃষ্টি যে তোমায় ভালোবাসি......


বৃষ্টিঃ কতবার বলেছি আমার নাম ধরে ডাকো না?


শিশির: বৃষ্টি কিসের জন্য,,,,,,


সে আমার গালে দুবার চড় মেরেছে........ (কলেজে সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে........)


বৃষ্টি: আমি তোকে করতে বলেছি, আমি ভালোবাসি না,,, আর তুই শুনিস আকাশ, আমার বয়ফ্রেন্ড ওর দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,,, আমি তোর চোখ তুলব,,,,,,,


কথাগুলো বলে বৃষ্টি চলে গেল সাথে সাথে,,,,,,

আমি এখনো গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি,,,,,,,,,,


তন্ময়: দোস্ত, আর কত অপমান ভালো হবে,,,,,,,


সামি: হ্যাঁ, আমার বন্ধু, আমি এখন 2 বছর ধরে তোমাকে দেখছি, সে তোমাকে কতটা বিরক্ত করছে।

আজ আবার আকাশ বলল তার বয়ফ্রেন্ড তাহলে তুমি,,,,,,,,


রাজঃ তোমাকে বদলাতে হবে,,,,, তাকে ছাড়া তোমাকে দেখাতে পেরে আমি খুশি,,,,,,,

প্লিজ বন্ধু তুমি বদলে যাও না আমাদের জন্য,,,,,,


কিছুক্ষণ পর ,,,,,,,,


শিশিরঃ হুম,,,,,,,,

বদলাবো আমি নিজেকে বদলাবো,,,,,

যাহোক,


রাজঃ কি????


শিশির: আমি কি তাকে ভুলতে পারি!!!!


সামি: এটা তোমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।


আমি তাদের কথা শুনছি, হ্যাঁ, তারা ঠিকই বলেছে এবং তারা যদি অন্য কাউকে তাদের জীবনসঙ্গী বানাতে পারে, তাহলে আমি কেন নিজেকে কষ্ট দেব,,,,,,,,,


শিশির: নিজেকে বদলাতে আপনার সাহায্য চাই,,,,,,


সব একসাথে,,,, কি



শিশির: ওকে না দেখে আমি ৭ দিন অন্য কোথাও থাকবো।

তাকে ভুলে যেতে হবে।

তবে কোথায় থাকবো বলুন,,,,,,


রাজঃ তুমি আবার আমার ঘরে কোথায় থাকবে,,,,

আমি একা থাকি


শিশির: তাহলে কাল ভোর ৫টায় তুমি আমার বাসার বাইরে দাঁড়াবে,,,,,


রাজঃ হুম,,,,,,


সামিঃ তাহলে আমরা কেউই একদিন আসবো না,,,,,


শিশিরঃ তুমি আসো না কেন,,,,,


সামি: তোমাকে ছাড়া আমরা কি কখনো একা ক্লাসে যাই?


তন্ময়: হুম........


তারপর আজ আর ক্লাস না করে বাসায় চলে গেলাম,,,,,,


আম্মুঃ আজকে চলে গেলে কেন?


শিশির: ঠিক তেমনই,,,,,,

শোন, কাল সকালে তুমি আমাকে ঘুম থেকে জাগাবে। আমি আমার বন্ধুদের সাথে তাদের বাসায় কয়েকদিন থাকবো.........


আম্মুঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,,,,,


আকাশ আছে,,,,,,,


আকাশঃ শিশিরকে মিথ্যে বলছ কেন,,,,,,


বৃষ্টিঃ আসলে আমি তখন রাগ করে বললাম,,,,,,


আকাশঃ ওহ,,,,,,


কলেজ শেষে বৃষ্টি, নীলা, সঙ্গী তারা একসাথে বাড়ি যাচ্ছে,,,,,,


সঙ্গীঃ বৃষ্টি হচ্ছে, বারবার কি দেখছ?


বৃষ্টি: মানে,,,,,,

শিশির প্রতিদিন আমাদের সাথে বাসায় যায়, সে আজ আসছে না, তাই দেখলাম,,,,,,


নিলা: সে তোমার সাথে আসবে কেন,,,,,,,

তুমি তাকে প্রতিদিন এত কথা বলতে শুনো,,,,,

আজ আবার সারা কলেজের সামনে ওকে চড় মারলাম,,,,,,


সঙ্গী: হুম, বৃষ্টি হচ্ছে, আমারও খারাপ লাগছে,,,,,

শিশির তোমাকে অনেক ভালোবাসে তুমি তাকে এই পুরস্কার দাও,,,,,,


বৃষ্টিঃ নীরব,,,,,,


নীলা: তুমি যদি তাকে পছন্দ না কর তাহলে তোমার বইয়ের পাতায় তার নাম কেন,,,,,,,

তুমি বলো ,,,,,,


বৃষ্টি কোথায়?


নিলা: দেখছি,,,,,,,


বৃষ্টিঃ হয়তো সে লিখছে,,,,,,,,


নীলা: তোমার লেখা আমি জানি,,,,,,


বৃষ্টিঃ তাহলে তুমি বলছ আমি মিথ্যা বলছি,,,,,


নিলাঃ তাই না!!!!!


সঙ্গী: আমরা আপনার বন্ধু, বলুন,,,,,,


বৃষ্টিঃ আমি আসলে সেদিন পড়ছিলাম,,,,

আমি শুধু তাকে নিয়েই ভাবছিলাম তাই না জেনে লিখছি,,,

বেশি না ,,,,,,


নীলা: এটা ভালোবাসার লক্ষণ,,,,,,, (দুষ্টু হাসি দিয়ে.......)


বৃষ্টিঃ বাসায় আসছি, চল যাই,,,,,,


বৃষ্টি চলে যাচ্ছে,,,,,,,


নীলা: যদি তুমি তার কাছে ক্ষমা না চাও,,,,,


সঙ্গী: হুম,,,,,,

বৃষ্টি: দেখি,,,,,,,,


বিকেলের শিশিরে বের হলাম,,,,,, তখন আমার সামনে বৃষ্টি নামলো,,,,,

শিশির কেটে যাচ্ছে,,,,,,,


বৃষ্টি: সরি,,,,,,,


শিশির: কিসের জন্য...... (অবাক হয়ে......)


বৃষ্টি: সকালে ব্যবহারের জন্য,,,,,,,,


শিশিরঃ ওহহহ,,,,,

ঠিক আছে আপু আমি যাই,,,,,,


শিশির শুনে অবাক, ওকে চলে যেতে দেখে,,,,,,,

বৃষ্টি বৃষ্টিকে তার নাম ধরে ডাকার জন্য এত চড় মেরেছে,,,, কিন্তু আজ শিশির নিজেই তাকে অপু বলে ডাকে,,,,,,

বৃষ্টি ভাবছে একটা ছেলে কত কষ্টের কথা বলতে পারে,,,,,


শিশির সকালে বন্ধুর বাসায় যায়,,,,,,

আর বৃষ্টি এখনো কলেজে যাচ্ছে তবু শিশির দেখা যায়নি,,,,,,,

তার গার্লফ্রেন্ড তাকে জিজ্ঞেস করছে তুমি কি ক্ষমা চেয়েছ,,,, তখন বৃষ্টি সব বলেছে,,,,,,


নিলা: আমার মনে হয় সে অনেক কষ্টে আছে,,,,,,


সঙ্গী: হুম,,,,,

কাল না করলেও,,,,,,


নিলাঃ আচ্ছা চল ওর কাছে যাই,,,,,,,


বৃষ্টি কিছু একটা ভেবে বলল হ্যা,,,,,,,


কিন্তু তার বান্ধবী সারা কলেজে বৃষ্টিতে তাদের কাউকেই দেখতে পায়নি,,,,,,,


বৃষ্টি কলেজের শেষে শিশির দেখে ভাবতে পারেনি।


বৃষ্টি সারাদিন কিছু বলল না,,,,,

সে বাসায় আসে,,,,,

কিন্তু একটাই কথা যে ছেলেটা সারাদিন ওর দিকে বসে থাকে, সেই ছেলেটা আজ ওকে দেখেনি,,,,,,,


পরের দিন যখন কলেজে যাই তখন বৃষ্টি হয় তখনও শিশির নেই,,,,,,,

বাসায় আসার পর বৃষ্টি শিশিরের বাসায় যায়,,,,,,

শিশিরের মা বললেন, শিশির তার বন্ধুর বাসায় আর কতদিন থাকবে?


বৃষ্টি সেদিন কলেজে যায়নি,,,,,,,

পরদিন কলেজে গেলে তার বান্ধবীরা তাকে দেখে অবাক হয়ে যায়,,,,,,,

কারণ এই ৭ দিনে বৃষ্টি শুকিয়ে গেছে, তার চোখও লাল, যেন সে রাত জেগে আছে,,,,,,,

চোখের নিচে কালো দাগ, ভাবছি কত কান্না জড়িয়ে আছে,,,,,,,,,


নিলাঃ তোমার এই অবস্থা কেন,,,,,,


বৃষ্টি নীলাকে জড়িয়ে ধরে,,,,,,,,


নিলা: কি হয়েছে বলো না,,,,,,,,


বৃষ্টি: আমি শিশিরের প্রেমে পড়েছি,,,,,,

আপনি জানেন, তিনি এখনও বাড়িতে নেই. তারপর থেকে আমি তাকে দেখিনি।

আমি খুব একটা কষ্টে নেই,,,,,,,

এসবের জন্য আমিই দায়ী........ (কান্না করে.........)


নিলা: এত কিছু হয়েছে,,,,,,,,

সাবাশ ,,,,,,,

আমার বান্ধবী শিশিরের প্রেমে পড়ে গেল,,,,,,,


সঙ্গী: কান্না থামাও, ওকে খুঁজে আসি,,,,,

আচ্ছা, তার ফোন নম্বর আছে, সে কোথায়?


বৃষ্টিঃ কতবার ফোন করেছি,,,,,,,,,,


নিলাঃ ওহহহ,,,,,,


ওরা অনেকদিন কলেজ থেকে বের হয়েছে আর আমার মনে হয় একটু পর বৃষ্টি হবে।


নীলাঃ চল এখন বাসায় যাই, একটু পর বৃষ্টি হবে,,,,,,,


সঙ্গীঃ দেখো,,,,,,,


নিলা: কি,,,,,,,


সঙ্গী: আরে রাজ,,,,,,,,,

শিশিরের বন্ধু,,,,,,,


তারা সবাই রাজার কাছে যায়,,,,,,,,


নীলা: এই রাজ, শিশির কই,,,,,,,


রাজঃ আমি জানি না,,,,,,,


সঙ্গী: তুমি তার বন্ধু, তুমি জানো না কেন!!!!!


রাজঃ জানলেও বলবো না,,,,,,,


বৃষ্টি: আমি তোমার পা ধরে আছি। দয়া করে বলবেন না তিনি কোথায় আছেন........


রাজঃ আরে আরে কি করছো!!!!!


বৃষ্টিঃ বলো, সে কোথায়?????


রাজঃ তুমি সেদিন ওকে কত কষ্ট দিয়েছিলে আর এখন ওকে খুঁজতে আসছ,,,,,,,,


বৃষ্টি: আমি তার প্রেমে পড়ে গেছি,,,,,,,, (কান্না করে........)


রাজঃ ভালোবাসো,,,,, তুমি আকাশ ভালোবাসো,,,,,,,,


নিলা: আরে সেদিন রাগ করেছিল,,,,,,,

প্লিজ বলুন, ওদের বড় কুকুরের গল্প কি.....

কতটা কষ্ট দিয়েছে জানো,,,,,,,


রাজঃ এখানে যে গাছগুলো দেখা যায়,,,,,,,,


ওখানে বৃষ্টি নামল,,,,,,,

আর বাসায় তার বান্ধবী,,,,,,,,

বৃষ্টি সেখানে গিয়ে দেখল শিশির দাঁড়িয়ে আছে,,,,,,,,,,

হালকা বৃষ্টি হচ্ছে,,,,,,,,,

আর বৃষ্টিতে শিশির পড়ছে,,,,,,,,

হঠাৎ শিশিরে ঢেকে গেল বৃষ্টি,,,,,,


শিশির বৃষ্টির ওপারে,,,,,,,,


শিশির দেখে একটু অবাক হলাম তখন.........


শিশির: আপু, জড়িয়ে ধরছ কেন,,,,,,,,


বৃষ্টিঃ কি বললাম,,,,,,,,, (শিশির কলার ধরে.........)


শিশিরঃ কি করছো!!!!!


বৃষ্টি: তুমি আমাকে কষ্ট দিতে পছন্দ করো না (কান্না করার সময়.........)

তুমি জানো আমি তোমাকে কতটা কষ্ট দিয়েছি, তুমি চলে যাওয়ার পর একদিনও ঘুমোতে পারিনি,,,,,,,,

সারাক্ষণ তোমার কথা ভাবতাম,,,,,,,,


শিশির: কিন্তু আমি এটা ছেড়ে দিয়েছি (তাকে বিরক্ত করার জন্য.........)


বৃষ্টিঃ আমাকে মাফ করে দাও,,,,,,,

আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না,,,,,,,,,


শিশিরঃ তুমি না বাঁচলে কার সাথে থাকবো,,,,,,,


বৃষ্টি: তাহলে তো আমার কষ্ট হলো,,, তারপর বললাম যে,,,,,,,,

তুমি খুব অহংকারী তাই না,,,,,,,


শিশিরঃ যাকে ভালোবাসি তার উপর কি রাগ,,,,,,,,,,,,,,

আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি রে পাগলী,,,,,,,,,,,


বৃষ্টিঃ কখনো ছাড়বো না,,,,,,,,,


শিশির: শুধু মৃত্যুই আমাদের আলাদা করতে পারে, আর কিছু না,,,,,,,,,,,


এখন অনেক বৃষ্টি হচ্ছে,,,,,,,,,,,

আর বৃষ্টিতে মেয়েকে জড়িয়ে ধরার মজাই আলাদা,,,,,, কিন্তু দুঃখের বিষয় যারা বিয়ে করছে তারা জানবে কি করে...


বৃষ্টিঃ হুম,,,,,,

বাঁচলে একসাথে বাঁচবো, মরলে একসাথে মরবো...


শিশির: তুমি কি বৃষ্টির কথা জানো????


বৃষ্টিঃ কি!!!!!!


শিশির: তোমাকে প্রথম বৃষ্টিতে দেখলাম আর আজ বৃষ্টি হচ্ছে,,,,,,,,,

আমি শ্বাস নেব

শিশিরঃ চল বাসায় যাই,,,,,,,


কিছুক্ষণ পর ..........


বৃষ্টি: এই চুল তুলবেন না,,,,,,,

আপনি কখনই জানেন না আপনি কতক্ষণ ঘুমাবেন।

আমাকে জড়িয়ে ধরো না,,,,,,,,


শিশিরঃ হুম,,,,,,,,


এভাবেই বেঁচে থাকে ভালোবাসা, আর ভালোবাসার মানুষগুলো বেঁচে থাকে,,,,,,,,



তুমি বৃষ্টি ছুঁয়ে দাও,

তোমার প্রতি ফোঁটা

আমি তাই মনে করি

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url