বোরকাওয়ালি মিষ্টি বউ (পর্ব -১)



ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি।

আর আমার চোখে জল ছিল। .

কারণ রুমের ভিতরে আমার মা অসুস্থ...।


পৃথিবীতে আমার একমাত্র মা আমার নিজের। .

আমার বাবা অল্প বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

আমি তার একমাত্র ছেলে।

আজ আমার কারণে আমার মা অসুস্থ।


হঠাৎ ডাঃ ম্যাডাম রুম থেকে বেরিয়ে এলেন।

আমি কান্না থামালাম।

ডাক্তার ম্যাডামকে জিজ্ঞেস করলাম..

- আমার মা কেমন আছে?

- মাথা ঘোরার কারণ ছিল এবং তার এখন বিশ্রাম দরকার। এই বয়সে ঘরের কাজ যত কম করবেন ততই ভালো।

আমি কিছু ওষুধ লিখে দিচ্ছি। তাকে সময়মতো খাওয়ালে দেখবেন দুই-তিন দিনের মধ্যে সে ভালো হয়ে যাবে। (ডাক্তার ম্যাডাম)

- ঠিক আছে ম্যাডাম (আমি)।

তারপর ডাক্তার ম্যাডাম চলে গেলেন।

আর আমি তাড়াতাড়ি মায়ের রুমে গেলাম।

আমি গিয়ে মায়ের হাত ধরে কেঁদে ফেললাম


- মা তুমি যাকে বিয়ে করতে বলবে আমি তাকে বিয়ে করতে রাজি। তবুও তুমি এভাবে নিজেকে কষ্ট দিও না। আমি এটা সহ্য করতে পারি না. (আমি কাঁদছি)


মা আমার মাথায় হাত রেখে বলে।

- সত্যিই তোর পছন্দের মেয়েকে বিয়ে কর। (মা)

- হ্যাঁ মা, তুমি আমাকে (আমাকে) বিয়ে করতে যা বলবে আমি তাই করব।


মা একটু হেসে চোখের জল মুছে দিল

- এটা আমার টার্গেট ছেলে (মা)।

আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল।

- আজকে অফিসে যেতে হবে না। বিকেলে গ্রামের বাড়ি যাবো (মা)

- আচ্ছা (আমি)।

তারপর আমি নিজেই স্যুপ বানিয়ে মাকে খাওয়ালাম। আর তাকে ওষুধ দিলাম। মা এখন ঘুমাচ্ছে।

আর আমি ওর হাত ধরে ওর পাশে বসে আছি।


আর আমি নিজেকে গালি দিচ্ছি।

কারণ সকালে যখন অফিসে যাচ্ছিলাম

তখন মা আমাকে বলে

- আর কতদিন এভাবে থাকবে, বিয়ে হবে না (মা)।

- দেখ মা, আমি এখন বিয়ের কথা বলতে চাই না। আর এখন বিয়ে করে সংসার জীবনে দায়িত্ব নিতে পারছি না। (আমি)

- কেন না ..! প্রতিদিন তুমি অফিসে যাও, সারাদিন আমাকে একা বাসায় কত কাজ করতে হয়। এই বয়সেও কি একটু বিশ্রাম পাচ্ছি না..! (মা)

-তাহলে কাজের লোক ছেড়ে দাও কিন্তু আমি এখন বিয়ে করতে পারব না।


ঘর থেকে আওয়াজ এল। আমি পিছনে ফিরে দেখলাম আমার মা টেবিলে আছে।

দুশ্চিন্তা হারানো।

আমার মা টেবিলে বসে থাকতে দেখে আমার পুরো পৃথিবী কয়েক মুহূর্তের জন্য থমকে গেল।

আমি দৌড়ে গিয়ে মাকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে গেলাম।

তারপর অনেক চেঁচামেচির পরও তার জ্ঞান ফেরেনি এবং এক অজানা ভয় তার মনে বসতি স্থাপন করে।

আর দেরি না করে আমরা আমাদের ফ্যামিলি ডাক্তারকে ফোন করে বাসায় আসতে বললাম

তারপর আসার পর কী হয়েছিল সে জানে।

মায়ের মুখে হাসি দেখে আমার মনের সেই ভয় কেটে গেল।

যার ঘরে মা আছে তার জান্নাত আছে। .

আর আজ সেই মাকে কষ্ট দিলাম। আমি জানি না আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন কিনা।


এসব ভাবতে ভাবতে মায়ের কোলের কাছে ঘুমিয়ে পড়লাম।


হঠাৎ মায়ের ডাকে আমার ঘুম ভেঙে গেল। চোখ খুলে দেখি মা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।


আমি একটু অবাক হয়ে বললাম।

- মা, তোমার এখন বিশ্রামের কি দরকার, পিলেজ, তুমি বিছানায় যাও। (আমি)

-তুমি সারাদিন ঘুমাও? সকালে বাসায় চলে আসবো।

আমি আর কিছু বললাম না। বাসার দিকে তাকিয়ে দেখি ২টা বেজে গেছে।

আমি ফ্রেশ হয়ে ম্যানেজারকে ফোন করে বললাম আজ অফিসে না আসতে।

বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি একাই দেখাশোনা করতে হয়। এর জন্য আমার সময় নেই। এখন ভাবছি আবার বিয়ে করলে সংসারে সময় কিভাবে কাটাবো।

আর বিয়ে ছাড়া উপায় নেই। মায়ের এখন বিশ্রাম দরকার। সারাদিন একা ঘরের কাজ আর কতদিন করবে?

আমি কিছু না ভেবে খাবার টেবিলে বসলাম।

তারপর মা ভাত বাড়িয়ে দিল।

তারপর আমার মা নিজেই আমাকে খাওয়াতে লাগলেন।

প্রতিদিন ই দেয়।

খাওয়ার সময় মা বলল

- একবার বিয়ে করলে আর রোজ রোজ গোলাপ তুলতে হবে না। বউ এসে তোমাকে খাওয়াবে.. (মা) (হেসে)

-হু, তোমার হাত ছাড়াই খাবো। - না (আমি)।

আমার কথা শুনে মা হেসে ফেলল তারপর খেয়ে ফেলল।

আমি গিয়ে রেডি হয়ে নিলাম।

এখন গ্রামের বাড়িতে যাব।

কিন্তু আমি জানিনা কেন.

তারপর মা রেডি হয়ে চলে গেল। আমি গাড়ি থেকে নামলাম।

মা গাড়িতে বসলেন।

তারপর মাকে বললাম। মা কেন গ্রামের বাড়িতে যাবে আর কোথায় উঠবে? (আমি)


- আমি সোজা তোমার খালার বাসায় যাবো। (মা)

- আমি কেন).

- আমি এখন পাব। চল এখন যাই (মা)।

তারপর আর কোন কথা না বলে গাড়ি চালাতে লাগলাম।


ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে খালার বাসায় পৌঁছে গেলাম। মা নিচে নেমে গেল আর আমি গাড়ি পার্ক করলাম।

তারপর ভিতরে গেলাম।

গিয়ে দেখলাম সবাই জোট বেঁধে বসে আছে। খালা আর খালুকে প্রথমে সালাম দিলাম।

তারপর খালা আমাকে বসতে বললেন।

আমি গিয়ে মায়ের পাশে বসলাম। .

আমি এবার একটু বিব্রত বোধ করতে লাগলাম। কারণ বাড়ির সবাই এক জায়গায়।

আমি জানি সে আমার দিকে কেমন করে তাকিয়ে ছিল।

কি করব বুঝতে পারছিলাম না।

মাকে কান ধরে জিজ্ঞেস করলাম।

- মা, ওরা সবাই আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন?

মা হেসে উত্তর দিল

- নতুন জামাই দেখছে (মা)

শুনে হতবাক হয়ে গেলাম।

মা এখানে কেন এসেছে বুঝতে পারছি না।

নিশ্চয়ই আমার মামাতো ভাইয়ের মেয়েকে বিয়ে করার জন্য আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। কিন্তু কিভাবে সম্ভব? সেই স্ত্রীকে বিয়ে করলে আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে...

বোরকাওয়ালি মিষ্টি  বউ (পর্ব -২) পড়ুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url